Volkswagen Touareg বনাম Volvo XC90: কেনার আগে এই তথ্যগুলো না জানলে পস্তাবেন!

webmaster

폭스바겐 투아렉과 볼보 XC90 비교 - **Prompt: Volkswagen Touareg - Dominant Mountain Presence**
    A majestic Volkswagen Touareg R-Line...

আরে বাহ! বিলাসবহুল এসইউভি কেনার কথা ভাবছেন? দারুণ তো!

আমার মতো গাড়ির পোকাদের জন্য এর চেয়ে মজার আর কী হতে পারে বলুন! যখনই নতুন কোনো গাড়ি বাজারে আসে, বিশেষ করে Volkswagen Touareg বা Volvo XC90-এর মতো মডেলগুলো, তখন কার না মন দোদুল্যমান হয়?

আমার নিজের অভিজ্ঞতা তো বলে, এমন গাড়ি কেনার আগে সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে নেওয়াটা খুব জরুরি। এই গাড়িগুলো শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এগুলো যেন আপনার ব্যক্তিত্বেরই একটা অংশ। আজকাল প্রযুক্তি আর নিরাপত্তার দিক থেকে এরা একে অপরকে জোর টক্কর দিচ্ছে। একদিকে যেমন Touareg তার ইঞ্জিন পারফরম্যান্স আর রাইডিং কমফর্ট দিয়ে মন কাড়ছে, অন্যদিকে XC90 তার অনন্য ডিজাইন, উন্নত সুরক্ষা ফিচার, আর পরিবেশ-বান্ধব হাইব্রিড অপশন দিয়ে বাজার মাতাচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যে বেশ কঠিন, তা আমি বুঝি। তাই আপনার জন্য এই দুই চমৎকার গাড়ির সর্বশেষ তথ্য, সুবিধা-অসুবিধা, আর কোনটা আপনার জন্য সেরা হবে, সে বিষয়ে কিছু দারুণ টিপস নিয়ে এসেছি। চলুন, এই আকর্ষণীয় তুলনাটি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

শক্তির খেলা: ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স আর রাইডিং অভিজ্ঞতা কেমন?

폭스바겐 투아렉과 볼보 XC90 비교 - **Prompt: Volkswagen Touareg - Dominant Mountain Presence**
    A majestic Volkswagen Touareg R-Line...
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যখন আপনি এই ধরনের প্রিমিয়াম এসইউভি চালান, তখন এর ইঞ্জিনের গর্জন আর মসৃণ গতি যেন এক অন্য অনুভূতি দেয়। Volkswagen Touareg-এর কথা যদি বলি, এর V6 TDI ইঞ্জিনটা সত্যিই অনবদ্য। আমি যখন পাহাড়ি রাস্তায় চালিয়েছিলাম, তখন এর টর্ক আর পাওয়ার ডেলিভারি আমাকে মুগ্ধ করেছিল। মনে হচ্ছিল যেন বিশাল এক দানব আপনার হাতের ইশারায় চলছে, কিন্তু তার ভেতরে রয়েছে এক অদ্ভুত পরিশীলন। হাইওয়েতে এর অ্যাক্সিলারেশন এত স্মুথ যে আপনি বুঝতেই পারবেন না কখন গতি বাড়িয়েছেন। এর সাসপেনশন এতটাই ভালো যে ভাঙা রাস্তা বা স্পিড ব্রেকারেও যাত্রীরা তেমন ঝাঁকুনি অনুভব করেন না। লং ড্রাইভে এর আরামদায়ক সিটিং পজিশন আর ককপিট ডিজাইন চালককে ক্লান্তি থেকে দূরে রাখে। মনে হয় যেন আপনি আপনার বসার ঘরের আরামদায়ক সোফায় বসে আছেন। সত্যি বলতে, Touareg এর রাইডিং ডাইনামিক্স আপনাকে কখনোই হতাশ করবে না। এটা এমন একটা গাড়ি যা আপনাকে পাওয়ার এবং কমফর্ট দুটোই একসাথে দেবে, ঠিক যেমনটা আপনি একটা লাক্সারি এসইউভি থেকে আশা করেন।

ভক্সওয়াগেন টাওয়ারেগের অদম্য শক্তি

Touareg তার শক্তিশালী ইঞ্জিন অপশনগুলির জন্য বেশ পরিচিত। বিশেষ করে এর টার্বোচার্জড ডিজেল ইঞ্জিনটি (যেমন 3.0L V6 TDI) দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়। টর্ক এতটাই বেশি থাকে যে, অফ-রোডেও এর পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি, এর 4MOTION অল-হুইল ড্রাইভ সিস্টেম যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে গাড়িকে অনায়াসে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এর 8-স্পিড স্বয়ংক্রিয় গিয়ারবক্স স্মুথ ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে, যা শহরের যানজট থেকে শুরু করে হাইওয়ে পর্যন্ত সব জায়গাতেই দারুণ অভিজ্ঞতা দেয়। স্টিয়ারিং ফিডব্যাক বেশ নির্ভুল, যা চালককে আত্মবিশ্বাস যোগায়। সাসপেনশন সেটআপ এমনভাবে করা হয়েছে যাতে কমফোর্ট এবং হ্যান্ডলিংয়ের মধ্যে চমৎকার ভারসাম্য বজায় থাকে। তাই, যারা গাড়ি চালানোর সময় একটা শক্তিশালী এবং নিয়ন্ত্রিত অনুভূতি চান, তাদের জন্য Touareg একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে।

ভলভো XC90 এর পরিবেশ-বান্ধব পারফরম্যান্স

অন্যদিকে, Volvo XC90 তার ইঞ্জিন অপশনগুলিতে আরও বেশি আধুনিকতা নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে এর প্লাগ-ইন হাইব্রিড (T8 Recharge) মডেলটি পরিবেশ-সচেতন ক্রেতাদের জন্য দারুণ বিকল্প। এটি শুধু শক্তিশালীই নয়, একইসাথে জ্বালানি সাশ্রয়ীও বটে। আমি একবার XC90 T8 চালিয়েছিলাম, শহরের ভেতরে যখন ইলেকট্রিক মোডে চলছিল, তখন এতটাই নীরব ছিল যে মনে হচ্ছিল যেন কোনো ভবিষ্যৎ যানে চড়েছি। এর পারফরম্যান্সও কিন্তু কম নয়, কম্বাইন্ড পাওয়ার ডেলিভারি বেশ impressive। তবে, Touareg-এর মতো অতটা স্পোর্টি ফিল না দিলেও, XC90 তার মসৃণ রাইড এবং শান্ত কেবিন দিয়ে আপনাকে মুগ্ধ করবে। এর ইঞ্জিনগুলো মূলত ফোর-সিলিন্ডার ভিত্তিক হলেও, টার্বোচার্জিং এবং সুপারচার্জিংয়ের মাধ্যমে এদের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্টরও বেশি।

ভেতরের জগত: কেবিনের বিলাসিতা আর প্রযুক্তি

Advertisement

একটা গাড়ির ভেতরে বসলে যেন মনে হয় সেটা আপনার দ্বিতীয় বাড়ি। আর এই দিকটায় Touareg এবং XC90 দুজনেই নিজেদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছে। আমি যখন প্রথম Touareg-এর ভেতরে ঢুকেছিলাম, তখন এর প্রিমিয়াম ম্যাটেরিয়াল আর নিখুঁত কারিগরী দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। ড্যাশবোর্ডের ডিজাইনটা বেশ আধুনিক, বিশেষ করে এর বিশাল ইনোভিশন ককপিট (Innovision Cockpit) সিস্টেমটা আমার বেশ লেগেছে। দুটো বড় স্ক্রিন (একটা ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার আর একটা ইনফোটেইনমেন্ট) এমনভাবে একীভূত হয়েছে যে মনে হয় যেন একটা বিশাল ডিজিটাল প্যানেল আপনার সামনে রয়েছে। সিটগুলো এতটাই আরামদায়ক যে দীর্ঘ যাত্রাতেও ক্লান্তি আসে না। লেগ-রুম এবং হেড-রুম যথেষ্ট থাকায় পেছনের যাত্রীরাও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং সিস্টেমটা রাতের বেলা কেবিনের পরিবেশকে আরও মনোরম করে তোলে। আমার মনে হয়, যারা জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফিনিশিং আর কার্যকারিতাকে প্রাধান্য দেন, তাদের জন্য Touareg এর ইন্টেরিয়রটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা দেবে।

টাওয়ারেগের আধুনিক অভ্যন্তর

Touareg-এর ইন্টেরিয়র জার্মানিক ডিজাইন ফিলোসফির এক চমৎকার উদাহরণ। পরিষ্কার লাইন, প্রিমিয়াম ম্যাটেরিয়াল যেমন নরম লেদার, অ্যালুমিনিয়াম এবং উড ট্রিম, সবকিছুই কেবিনের ভেতরে একটা বিলাসবহুল পরিবেশ তৈরি করে। এর Innovision Cockpit সিস্টেমটি চালককে সব তথ্য এক নজরে দেখার সুযোগ করে দেয় এবং প্রায় সব ফাংশন টাচস্ক্রিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অ্যাপল কারপ্লে (Apple CarPlay) এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো (Android Auto) এর মতো কানেক্টিভিটি ফিচার তো আছেই, সাথে অ্যাডভান্সড নেভিগেশন সিস্টেমও পাওয়া যায়। সিটগুলিতে ম্যাসাজ ফাংশন এবং ভেন্টিলেশনও থাকে, যা দীর্ঘ যাত্রাকে আরও আরামদায়ক করে তোলে। এর বুট স্পেসও বেশ বড়, যা পরিবারের সাথে লং ট্রিপের জন্য আদর্শ।

ভলভো XC90-এর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সৌন্দর্য

Volvo XC90 এর ইন্টেরিয়র এক কথায় অনবদ্য। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ডিজাইন ফিলোসফির সম্পূর্ণ প্রতিফলন দেখতে পাবেন এখানে। পরিচ্ছন্ন, মিনিমালিস্টিক এবং রুচিশীল ডিজাইন। আমি যখন প্রথম এর কেবিনে বসেছিলাম, তখন এর ডিজাইন দেখে শান্ত এবং স্বস্তিদায়ক একটা অনুভূতি হয়েছিল। সেন্ট্রাল কনসোলে থাকা উল্লম্বভাবে সাজানো টাচস্ক্রিন (Sensus Infotainment) সিস্টেমটা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর রেসপন্সও বেশ ভালো। ম্যাটেরিয়াল হিসেবে নরম লেদার, উড ইনলে এবং এমনকি ক্রিস্টাল গিয়ার লিভার (কিছু মডেলে) ব্যবহার করা হয়েছে, যা কেবিনের প্রিমিয়াম অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। XC90 এর সিটগুলি এতটাই বিখ্যাত যে অনেকে একে “সেরা আরামদায়ক সিট” হিসেবে উল্লেখ করেন। এর সেভেন-সিটার অপশন বড় পরিবারের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। তৃতীয় সারির সিটগুলোও যথেষ্ট ব্যবহারযোগ্য, যা Touareg-এ নেই।

নিরাপত্তা যেখানে অগ্রাধিকার: সুরক্ষা ফিচারের লড়াই

নিরাপত্তা, আমার কাছে সবসময়ই এক নম্বরে থাকে, বিশেষ করে যখন আপনি পরিবার নিয়ে গাড়িতে চড়েন। এই ক্ষেত্রে Volvo XC90 যেন এক চ্যাম্পিয়ন। আমি জানি, ভলভো সবসময়ই নিরাপত্তার জন্য আলাদাভাবে পরিচিত, আর XC90 সেই সুনামকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। এর ইন্টেলিসেফ (IntelliSafe) সিস্টেমটা সত্যিই অসাধারণ। সিটি সেফটি (City Safety) থেকে শুরু করে লেন কিপিং অ্যাসিস্ট (Lane Keeping Assist), অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল (Adaptive Cruise Control) — সবকিছুই যেন চালককে এক বাড়তি সুরক্ষা দেয়। আমি একবার এক বন্ধুর XC90-এ চড়েছিলাম, রাতের বেলা হাইওয়েতে যখন অন্য গাড়িগুলো হঠাৎ ব্রেক করছিল, তখন গাড়িটা নিজে থেকেই সতর্ক করে ব্রেক করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। এটা দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম। মনে হয় যেন গাড়িটার নিজস্ব একটা বুদ্ধি আছে, যা সব সময় আপনাকে আর আপনার প্রিয়জনদের সুরক্ষিত রাখতে চায়।

ভলভো XC90-এর নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা

Volvo XC90 তার নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের জন্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত। এর কাঠামো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে যেকোনো সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। ইন্টেলিসেফ সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যেমন – রান-অফ রোড প্রোটেকশন (Run-off Road Protection), যা কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে গাড়ির যাত্রীদের অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়। এছাড়াও ব্লাইন্ড স্পট ইনফরমেশন সিস্টেম (BLIS), ক্রস ট্র্যাফিক অ্যালার্ট (Cross Traffic Alert) এবং 360 ডিগ্রি সারাউন্ড ভিউ ক্যামেরা এর মতো ফিচারগুলি ড্রাইভারকে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে সতর্ক ও নিরাপদ রাখে। আমার মনে হয়, যারা গাড়ির নিরাপত্তাকে সবার উপরে রাখেন, তাদের জন্য XC90 নিঃসন্দেহে সেরা বিকল্প।

টাওয়ারেগের সুদৃঢ় সুরক্ষা বলয়

Volkswagen Touareg-ও নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো অংশে কম নয়। যদিও ভলভো-এর মতো অতটা ‘সুরক্ষা-কেন্দ্রিক’ ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত না হলেও, Touareg-এর মধ্যে আধুনিক সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আমি জানি, এর অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, লেন অ্যাসিস্ট (Lane Assist) এবং ফ্রন্ট অ্যাসিস্ট (Front Assist) সিস্টেমগুলি বেশ কার্যকরী। আমি একবার একটি রিভিউতে পড়েছিলাম যে, Touareg-এর এয়ারব্যাগ সিস্টেম এবং শক্তিশালী বডি স্ট্রাকচার যাত্রীদেরকে দারুণ সুরক্ষা দেয়। এর 360 ডিগ্রি এরিয়া ভিউ ক্যামেরা পার্কিং এবং সংকীর্ণ স্থানগুলোতে চলাচলের জন্য দারুণ সহায়ক। এটি ইউরো এনসিএপি (Euro NCAP) ক্র্যাশ টেস্টে সর্বোচ্চ ৫-স্টার রেটিং পেয়েছে, যা এর সুরক্ষার প্রমাণ দেয়। তাই, আপনি Touareg বেছে নিলেও নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

বহিরাঙ্গন: ডিজাইন ও লুকের তারতম্য

Advertisement

গাড়ির ডিজাইন নিয়ে কথা বলা মানেই যেন ব্যক্তিগত পছন্দের একটা ব্যাপার। কিন্তু Volkswagen Touareg এবং Volvo XC90 দুজনেই তাদের নিজস্ব ডিজাইনের মাধ্যমে নিজেদের আলাদা করে তুলেছে। আমি যখন দু’টো গাড়িকে পাশাপাশি দেখি, তখন মনে হয় যেন দু’টো আলাদা জগতের সৌন্দর্য আমার সামনে হাজির হয়েছে। Touareg-এর ডিজাইনটা আরও বেশি মাসকুলার এবং অ্যাগ্রেসিভ। এর বড় গ্রিল, তীক্ষ্ণ হেডলাইট আর বলিষ্ঠ বডিলাইন দেখে মনে হয় যেন একটা শক্তিশালী জন্তু আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। বিশেষ করে R-Line মডেলটা দেখলে আমার মনে হয়, “আহা, এ যেন এক অদম্য শক্তি!” এটা এমন একটা গাড়ি যা আপনার উপস্থিতি জানান দেবে, যেখানেই যাক না কেন। এর লাইনগুলো খুবই পরিষ্কার এবং জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নিখুঁত প্রতিফলন দেখা যায় প্রতিটি কোণে। চাকার ডিজাইন থেকে শুরু করে পেছনের টেললাইট পর্যন্ত, সবকিছুই যেন এক দৃঢ়তা আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

টাওয়ারেগের বলিষ্ঠ উপস্থিতি

Touareg-এর ডিজাইন বেশ আধুনিক এবং শক্তিশালী। এর সামনের অংশে বিশাল গ্রিলটি হেডলাইটগুলির সাথে মিশে একটি প্রশস্ত এবং আত্মবিশ্বাসী চেহারা তৈরি করে। এলইডি ম্যাট্রিক্স হেডলাইটগুলো (IQ.LIGHT) শুধুমাত্র দেখতেই সুন্দর নয়, রাতের বেলা আলো দেওয়ার ক্ষেত্রেও চমৎকার। আমি দেখেছি, এই হেডলাইটগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোর প্যাটার্ন পরিবর্তন করে, যা রাতের ড্রাইভিং আরও নিরাপদ করে তোলে। গাড়ির সাইড প্রোফাইল বেশ শক্তিশালী, যেখানে বলিষ্ঠ হুইল আর্চ এবং বড় চাকাগুলো এর এসইউভি চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলে। পেছনের দিকে, এলইডি টেললাইটগুলোও একটি আধুনিক এবং সুসংহত ডিজাইন প্রদান করে। Touareg এর সামগ্রিক লুক এমন যে, যারা একটি শক্তিশালী এবং স্টাইলিশ এসইউভি খুঁজছেন, তাদের এটি মুগ্ধ করবে।

XC90-এর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এলিগ্যান্স

অন্যদিকে, Volvo XC90 এর ডিজাইন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা গল্প বলে। এটি আরও বেশি মার্জিত, পরিশীলিত এবং মিনিমালিস্টিক। এর “থর’স হ্যামার” এলইডি ডেটাইম রানিং লাইটগুলি এতটাই স্বতন্ত্র যে আপনি দূর থেকেও একে চিনতে পারবেন। আমি যখনই XC90 দেখি, তখন আমার মনে হয় যেন সুইডেনের প্রকৃতির স্নিগ্ধতা আর আধুনিকতার এক দারুণ মিশেল। এর বডিলাইনগুলো মসৃণ এবং সাবলীল, যা গাড়িটিকে একটি আভিজাত্যপূর্ণ লুক দেয়। গ্রিল ডিজাইনটা Touareg-এর মতো ততটা আক্রমণাত্মক না হলেও, এর মধ্যে একটা শান্ত আত্মবিশ্বাস আছে। ক্রোম অ্যাকসেন্ট এবং বড় অ্যালয় হুইলগুলো এর প্রিমিয়াম অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। যারা এমন একটি গাড়ি চান যা একইসাথে স্টাইলিশ, আভিজাত্যপূর্ণ এবং সময়ের সাথে মানানসই, তাদের জন্য XC90 এর ডিজাইনটা মন ছুঁয়ে যাবে।

দাম, রক্ষণাবেক্ষণ আর দীর্ঘমেয়াদী মূল্য: কার পাল্লা ভারী?

폭스바겐 투아렉과 볼보 XC90 비교 - **Prompt: Volvo XC90 - Serene Scandinavian Family Journey**
    An elegant Volvo XC90 T8 Recharge, i...
গাড়ি কেনা শুধু একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নয়, এর সাথে জড়িয়ে থাকে আর্থিক অনেক দিক। দাম, রক্ষণাবেক্ষণ এবং দীর্ঘমেয়াদী মূল্য – এই তিনটি বিষয় একজন ক্রেতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, একটা গাড়ি কেনার আগে এর লাইফটাইম কস্ট সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা থাকা উচিত। Volkswagen Touareg এবং Volvo XC90 উভয়ই প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির গাড়ি, তাই এদের প্রাথমিক দামটা বেশ চড়া। তবে, শুধু প্রাথমিক দাম দেখলেই হবে না, এর সাথে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, বীমার খরচ এবং জ্বালানি দক্ষতাও বিবেচনায় আনতে হবে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, জার্মান গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হতে পারে, কিন্তু এদের ইঞ্জিন দীর্ঘস্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য হয়। অন্যদিকে, ভলভো তার হাইব্রিড অপশনগুলির মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়ে এগিয়ে থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে আপনার খরচ কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

টাওয়ারেগের বিনিয়োগ এবং খরচ

Volkswagen Touareg সাধারণত তার সেগমেন্টে একটি ভালো রিসেল ভ্যালু বজায় রাখে। এর প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড ইমেজ এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এর পেছনে কাজ করে। রক্ষণাবেক্ষণের কথা বললে, এটি একটি জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদাহরণ হওয়ায় সার্ভিসিংয়ের খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে, সঠিক সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ করালে এর দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে না। জ্বালানি দক্ষতার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে এর ডিজেল ইঞ্জিনগুলো হাইওয়েতে বেশ ভালো মাইলেজ দেয়। বীমার খরচ নির্ভর করে মডেল, ইঞ্জিন সাইজ এবং আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইলের উপর। Touareg-এর পার্টস এবং সার্ভিসিং হয়তো ভলভোর চেয়ে কিছুটা ব্যয়বহুল হতে পারে, কিন্তু এর নির্ভরযোগ্যতা আপনাকে হতাশ করবে না।

XC90-এর অর্থনৈতিক বিবেচনা

Volvo XC90-এর দাম Touareg-এর কাছাকাছি হলেও, এর হাইব্রিড মডেলগুলো (যেমন T8 Recharge) জ্বালানি সাশ্রয়ের দিক থেকে বেশ এগিয়ে থাকে। এটি শহরের ভেতরে ইলেকট্রিক মোডে চালানোর সুযোগ দেয়, যা প্রতিদিনের যাতায়াতের খরচ কমাতে সাহায্য করে। ভলভোর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তুলনামূলকভাবে যুক্তিসঙ্গত, এবং এর পার্টসগুলিও সহজে পাওয়া যায়। রিসেল ভ্যালুর ক্ষেত্রে XC90 বেশ ভালো পারফর্ম করে, বিশেষ করে এর সেভেন-সিটার ইউটিলিটি এবং শক্তিশালী সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য এটিকে সেকেন্ড হ্যান্ড বাজারেও আকর্ষণীয় করে তোলে। বীমার খরচ নির্ভর করে গাড়ির ভেরিয়েন্ট এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের উপর। দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি সাশ্রয় এবং পরিবেশ-বান্ধব ইমেজ, XC90-কে একটি বুদ্ধিমান বিনিয়োগ হিসেবে উপস্থাপন করে।

গাড়ি দুটি এক নজরে

বৈশিষ্ট্য Volkswagen Touareg Volvo XC90
ইঞ্জিন অপশন V6 পেট্রোল/ডিজেল, প্লাগ-ইন হাইব্রিড ইনলাইন-4 পেট্রোল (টার্বো/সুপারচার্জড), প্লাগ-ইন হাইব্রিড
ড্রাইভ 4MOTION অল-হুইল ড্রাইভ অল-হুইল ড্রাইভ
সিটিং ক্যাপাসিটি ৫ জন ৫ বা ৭ জন
ডিজাইন ফিলোসফি মাসকুলার, আত্মবিশ্বাসী, জার্মানিক মার্জিত, মিনিমালিস্টিক, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান
উল্লেখযোগ্য ফিচার Innovision Cockpit, IQ.LIGHT LED হেডলাইট Sensus Infotainment, Thors Hammer DRLs, ক্রিস্টাল গিয়ার লিভার (ঐচ্ছিক)
নিরাপত্তা ৫-স্টার Euro NCAP, অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম (ADAS) ৫-স্টার Euro NCAP, IntelliSafe সিস্টেম, City Safety
মূল আকর্ষণ শক্তিশালী পারফরম্যান্স, প্রিমিয়াম ইন্টেরিয়র নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা, আরামদায়ক কেবিন, পরিবেশ-বান্ধব অপশন
Advertisement

আপনার ড্রাইভিং স্টাইল অনুসারে সেরা পছন্দ

গাড়ি শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি আপনার জীবনযাত্রার অংশ। তাই আপনার ড্রাইভিং স্টাইল, পারিবারিক প্রয়োজন এবং অগ্রাধিকারের উপর নির্ভর করে সেরা গাড়িটি বেছে নেওয়া উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, সঠিক গাড়িটি আপনার প্রতিদিনের জীবনকে আরও সহজ এবং আনন্দময় করে তুলতে পারে। Volkswagen Touareg এবং Volvo XC90 দুটিই তাদের নিজস্ব ক্ষেত্রে সেরা, কিন্তু তাদের চরিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আপনি যদি এমন একজন চালক হন যিনি গাড়ির পারফরম্যান্স, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং একটি স্পোর্টি ড্রাইভিং অভিজ্ঞতাকে বেশি গুরুত্ব দেন, তাহলে Touareg আপনার জন্য একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে। এটি হাইওয়েতে যেমন অনায়াসে চলতে পারে, তেমনি মাঝে মাঝে অফ-রোডেও এর ক্ষমতা আপনাকে মুগ্ধ করবে। এর বলিষ্ঠ ডিজাইন এবং আধুনিক ককপিট আপনাকে চালকের আসনে বসে একটা বিশেষ অনুভূতি দেবে।

শক্তির পূজারীদের জন্য টাওয়ারেগ

যদি আপনি সেই ধরণের চালক হন যিনি গাড়ি চালানোর সময় একটা শক্তিশালী অনুভূতি চান, ইঞ্জিনের টর্ক আর গতির উত্তেজনা উপভোগ করেন, তাহলে Volkswagen Touareg আপনার জন্য আদর্শ। আমি দেখেছি, যারা প্রায়শই হাইওয়েতে দীর্ঘপথ পাড়ি দেন বা পাহাড়ি রাস্তায় যেতে পছন্দ করেন, তাদের কাছে Touareg এর ড্রাইভিং ডাইনামিক্স দারুণ লাগে। এর অ্যাডাপ্টিভ এয়ার সাসপেনশন (ঐচ্ছিক) বিভিন্ন ড্রাইভিং মোডে গাড়িকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে, যা আপনার যাত্রাকে আরও আরামদায়ক করে তোলে। ট্রেলার টানার ক্ষমতাতেও Touareg বেশ এগিয়ে, যা যাদের নিয়মিত ভারী জিনিস পরিবহনের প্রয়োজন হয়, তাদের জন্য এটি একটি সুবিধাজনক বিকল্প। Touareg এমন একটি গাড়ি যা আপনাকে তার পারফরম্যান্স এবং নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

আরাম ও নিরাপত্তার সন্ধানে XC90

অন্যদিকে, যদি আপনার অগ্রাধিকার আরাম, নিরাপত্তা এবং পরিবারের সাথে যাত্রা হয়, তাহলে Volvo XC90 আপনার জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে। আমি যখনই XC90-এ চড়েছি, তখন এর সিটগুলোর আরাম আর কেবিনের শান্ত পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে। যাদের ছোট বাচ্চা আছে বা যারা প্রায়শই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য XC90 এর সেভেন-সিটার অপশন এবং বিশ্বসেরা নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর হাইব্রিড অপশনটি জ্বালানি খরচ কমাতেও সাহায্য করবে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে একটি বাড়তি সুবিধা। XC90 এমন একটি গাড়ি যা আপনাকে শুধু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায় না, বরং প্রতিটি যাত্রায় আপনাকে এবং আপনার প্রিয়জনদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও আরাম নিশ্চিত করে।

প্রযুক্তি এবং ইনোভেশন: কে কতটা এগিয়ে?

Advertisement

আজকের দিনে গাড়ি শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এটি যেন চাকা লাগানো একটি প্রযুক্তিগত গ্যাজেট। Volkswagen Touareg এবং Volvo XC90 দুজনেই এই দিকটায় নিজেদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছে। আমার মনে হয়, এই প্রিমিয়াম এসইউভিগুলো প্রায়শই নতুন প্রযুক্তির পরীক্ষাগার হিসেবে কাজ করে, যা পরবর্তীতে অন্যান্য মডেলে স্থান পায়। Touareg-এর Innovision Cockpit সিস্টেমটা যখন প্রথম দেখেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল যেন আমি কোনো ফিউচারিস্টিক স্পেসশিপে বসে আছি। দুটো বড় ডিজিটাল স্ক্রিন এমনভাবে একীভূত হয়েছে যে পুরো ড্যাশবোর্ডটাই যেন একটা স্মার্টফোন। এই ধরনের প্রযুক্তি শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এটি ড্রাইভারকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য এক নজরে পেতে সাহায্য করে, যা ড্রাইভিং অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করে তোলে।

টাওয়ারেগের ডিজিটাল নেতৃত্ব

Touareg তার Innovision Cockpit-এর মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। একটি ১২ ইঞ্চি ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ১৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমের সমন্বয়ে এটি গঠিত। আমি যখন এই সিস্টেমে কাজ করছিলাম, তখন এর রেসপন্স এবং ইউজার ইন্টারফেস আমাকে মুগ্ধ করেছিল। প্রায় সব গাড়ির ফাংশনই এই স্ক্রিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা কেবিনের বোতামের সংখ্যা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও, এর IQ.LIGHT LED ম্যাট্রিক্স হেডলাইটগুলো শুধু দেখতেই আধুনিক নয়, রাতের বেলা রাস্তার আলোর তীব্রতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করে ড্রাইভারকে আরও ভালো ভিজিবিলিটি দেয়। অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম (ADAS) প্যাকেজও বেশ উন্নত, যা ড্রাইভারকে সুরক্ষিত এবং সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

XC90-এর স্বজ্ঞাত প্রযুক্তি

Volvo XC90-এর Sensus Infotainment সিস্টেমটি তার উল্লম্ব ওরিয়েন্টেশনের জন্য বেশ পরিচিত। আমি দেখেছি, এই সিস্টেমটি অ্যাপল কারপ্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো উভয়কেই সমর্থন করে এবং এর ব্যবহারকারী ইন্টারফেস বেশ স্বজ্ঞাত। যদিও এটি Touareg-এর মতো অতটা বিশাল ডিসপ্লে নয়, তবে এর কার্যকারিতা এবং ডিজাইন চমৎকার। ভলভো তার গাড়ির মধ্যে বিভিন্ন স্মার্ট কানেক্টিভিটি ফিচারও সরবরাহ করে, যা আপনাকে আপনার গাড়ির সাথে দূর থেকেও সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এর প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম, যেমন বাওয়ার্স অ্যান্ড উইলকিন্স (Bowers & Wilkins) সিস্টেমটি অডিওফাইলদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা দেয়। ভলভো তার গাড়ির সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে নতুন ফিচার যোগ করার সুযোগও দেয়, যা সময়ের সাথে সাথে গাড়ির প্রযুক্তিকে আপ-টু-ডেট রাখে।

글을মাচি며

আমি জানি, একটা নতুন গাড়ি কেনাটা শুধু টাকার ব্যাপার নয়, এটা স্বপ্ন আর অনুভূতির ব্যাপার। Volkswagen Touareg এবং Volvo XC90, দুটোই তাদের নিজস্ব মহিমায় উজ্জ্বল। শেষমেশ কোনটা আপনার জন্য সেরা হবে, সেটা পুরোপুরি আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা, আপনার ড্রাইভিং স্টাইল আর আপনি আপনার গাড়ি থেকে ঠিক কী চান তার উপর নির্ভর করে। আশা করি আমার এই বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা হলেও সাহায্য করেছে। গাড়ি যা-ই হোক না কেন, আপনার যাত্রা যেন সবসময় আনন্দময় আর নিরাপদ হয়, সেই কামনাই করি।

আলরাখলেমা সাচমোন তথ্য

১. গাড়ি কেনার আগে অবশ্যই টেস্ট ড্রাইভ করুন। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গাড়ি চালিয়ে দেখুন, এতে আপনি গাড়ির আসল অনুভূতিটা বুঝতে পারবেন।

২. আপনার পরিবারের আকার এবং দৈনন্দিন প্রয়োজন অনুযায়ী সিটিং ক্যাপাসিটি এবং বুট স্পেসের দিকে নজর দিন।

৩. শুধুমাত্র প্রাথমিক দাম নয়, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, বীমা এবং জ্বালানি খরচও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের অংশ হিসেবে বিবেচনা করুন।

৪. নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করুন। বিশেষ করে অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম (ADAS) গুলো আপনার যাত্রাকে আরও নিরাপদ করে তুলবে।

৫. গাড়ির রিসেল ভ্যালু সম্পর্কে ধারণা নিন। কিছু প্রিমিয়াম গাড়ি তাদের বাজার মূল্য ভালোভাবে ধরে রাখতে পারে, যা ভবিষ্যতে আপনার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।

Advertisement

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় 정리

শেষে বলতে চাই, Volkswagen Touareg হলো পারফরম্যান্স আর মাসকুলার ডিজাইনের এক অদম্য প্রতীক। যারা শক্তিশালী ইঞ্জিন, স্পোর্টি ড্রাইভিং আর আধুনিক জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি সেরা। আর Volvo XC90 তার অতুলনীয় নিরাপত্তা, আরামদায়ক কেবিন এবং মার্জিত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ডিজাইনের জন্য পরিচিত। পারিবারিক ব্যবহার, নিরাপত্তা এবং পরিবেশ-বান্ধবতাকে যারা অগ্রাধিকার দেন, তাদের জন্য XC90 নিঃসন্দেহে এক চমৎকার পছন্দ। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা সিদ্ধান্তটি আপনার হাতেই!

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

আরে বাহ! বিলাসবহুল এসইউভি কেনার কথা ভাবছেন? দারুণ তো!

আমার মতো গাড়ির পোকাদের জন্য এর চেয়ে মজার আর কী হতে পারে বলুন! যখনই নতুন কোনো গাড়ি বাজারে আসে, বিশেষ করে Volkswagen Touareg বা Volvo XC90-এর মতো মডেলগুলো, তখন কার না মন দোদুল্যমান হয়?

আমার নিজের অভিজ্ঞতা তো বলে, এমন গাড়ি কেনার আগে সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে নেওয়াটা খুব জরুরি। এই গাড়িগুলো শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এগুলো যেন আপনার ব্যক্তিত্বেরই একটা অংশ। আজকাল প্রযুক্তি আর নিরাপত্তার দিক থেকে এরা একে অপরকে জোর টক্কর দিচ্ছে। একদিকে যেমন Touareg তার ইঞ্জিন পারফরম্যান্স আর রাইডিং কমফোর্ট দিয়ে মন কাড়ছে, অন্যদিকে XC90 তার অনন্য ডিজাইন, উন্নত সুরক্ষা ফিচার, আর পরিবেশ-বান্ধব হাইব্রিড অপশন দিয়ে বাজার মাতাচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যে বেশ কঠিন, তা আমি বুঝি। তাই আপনার জন্য এই দুই চমৎকার গাড়ির সর্বশেষ তথ্য, সুবিধা-অসুবিধা, আর কোনটা আপনার জন্য সেরা হবে, সে বিষয়ে কিছু দারুণ টিপস নিয়ে এসেছি। চলুন, এই আকর্ষণীয় তুলনাটি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।প্রশ্ন ১: Volkswagen Touareg এবং Volvo XC90, এই দুই গাড়ির মধ্যে ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা, আরাম এবং পারফরম্যান্সের দিক থেকে প্রধান পার্থক্যগুলো কী কী?

উত্তর ১: আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই দুটি গাড়ির ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা বেশ আলাদা। Volkswagen Touareg (ফোক্সওয়াগন টুয়ারেগ) যখন আপনি চালাবেন, তখন এর V6 টার্বো ডিজেল বা পেট্রোল ইঞ্জিন আপনাকে দারুণ শক্তি আর মসৃণ পারফরম্যান্স দেবে [১৬, ২০, ২১]। বিশেষ করে, এর অ্যাডাপ্টিভ এয়ার সাসপেনশন (ঐচ্ছিক) যেকোনো রাস্তায় আপনাকে খুব আরামদায়ক রাইড দেবে, যেন মনে হবে আপনি মেঘের ওপর দিয়ে ভেসে যাচ্ছেন [১৩, ২০]। অফ-রোডেও এর পারফরম্যান্স বেশ ভালো [১৩, ১৪]। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মনে হতে পারে যে এটি ড্রাইভারকে ততটা স্পোর্টি অনুভূতি দেয় না, বরং আরাম আর স্থিতিশীলতার দিকেই এর মনোযোগ বেশি [১৩]।
অন্যদিকে, Volvo XC90 (ভলভো এক্সসি৯০) তার পরিশীলিত ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা এবং শান্ত কেবিনের জন্য পরিচিত [৬, ১২]। এর সাসপেনশন যদিও আরামদায়ক, তবে কিছু ক্ষেত্রে Touareg-এর মতো অতটা মসৃণ নাও লাগতে পারে, বিশেষ করে খারাপ রাস্তায় এর প্রতিক্রিয়া কিছুটা বেশি অনুভূত হতে পারে [২৪]। XC90-এর B5 মাইল্ড-হাইব্রিড ইঞ্জিন (১৮৩kW) এবং T8 প্লাগ-ইন হাইব্রিড (PHEV) ইঞ্জিন (৩৪০kW) উভয়ই যথেষ্ট শক্তিশালী [১১]। T8 PHEV মডেলটি তাৎক্ষণিক টর্ক এবং উল্লেখযোগ্য জ্বালানি সাশ্রয়ের সুযোগ দেয় [৮, ১১]। এটি দ্রুত গতি তুলতে পারলেও, Touareg-এর V6 পেট্রোল ইউনিটের মতো কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় এর ০-১০০ কিমি/ঘণ্টা ত্বরণ কিছুটা ধীর হতে পারে [৪০]। Touareg-এর কেবিন খুব শান্ত হয়, যা দীর্ঘ যাত্রার জন্য আদর্শ [১২]।প্রশ্ন ২: নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, প্রযুক্তি এবং অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের ক্ষেত্রে কোন গাড়িটি বেশি এগিয়ে?

উত্তর ২: নিরাপত্তার কথা বললে, Volvo XC90 নিঃসন্দেহে বাজারের অন্যতম সেরা। ভলভো সবসময়ই নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়, এবং XC90 এর ব্যতিক্রম নয়। এতে সিটি সেফটি সিস্টেম (City Safety system) এবং পাইলট অ্যাসিস্ট (Pilot Assist) এর মতো সেমি-অটোনোমাস ড্রাইভিং ফিচার রয়েছে [২৫]। এর চালক বোঝার সিস্টেম (Driver understanding system) এবং যাত্রী সেন্সিং (Occupant sensing) প্রযুক্তি খুবই অত্যাধুনিক, যা গাড়ির ভেতরে ও বাইরে সবদিকে খেয়াল রাখে [৬, ২৮]। এছাড়া, এর ব্যাটারি সুরক্ষার জন্য ডেডিকেটেড ব্যাটারি সেফটি কেজ (battery safety cage) আছে, যা সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে [২৮]। ভেতরের ডিজাইন খুবই বিলাসবহুল, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান minimalism এর ছোঁয়া আছে, যেখানে প্রিমিয়াম উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে [২, ৫]। নতুন মডেলে আরও বড় ১১.২-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে এবং উন্নত Google বিল্ট-ইন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম রয়েছে [৬, ৩১]।Volkswagen Touareg-ও প্রযুক্তির দিক থেকে পিছিয়ে নেই। এর ১৫-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম এবং ১২.৩-ইঞ্চি ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল খুবই আধুনিক [৪, ৯, ১৭]। ইনোভিশন ককপিট (Innovision Cockpit) দেখতে খুবই চোখ ধাঁধানো এবং ব্যবহার করাও সহজ [৯, ১২]। এতেও অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, ট্র্যাফিক জ্যাম অ্যাসিস্ট এবং প্রোঅ্যাক্টিভ অকুপ্যান্ট প্রোটেকশন-এর মতো উন্নত ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম আছে [১২]। এর কেবিনও উচ্চমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি এবং বেশ প্রশস্ত [৪, ৯, ১৩, ১৭]। তবে, কিছু পুরোনো মডেলে টাচস্ক্রিন কন্ট্রোলগুলো কিছুটা জটিল মনে হতে পারে [৭]। Touareg-এ সাধারণত ৫টি সিট থাকে, যা পরিবার নিয়ে লম্বা যাত্রার জন্য আরামদায়ক [৪, ১২]।প্রশ্ন ৩: দাম, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এবং সামগ্রিক মূল্য বিবেচনা করলে কোনটি আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে?

উত্তর ৩: সত্যি বলতে, দাম এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দুটি গাড়ির ক্ষেত্রেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। Volkswagen Touareg সাধারণত এর প্রিমিয়াম প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় কিছুটা কম দামে শুরু হয়, যা একে একটি আকর্ষণীয় বিকল্প করে তোলে [১৩, ১৯, ৪৬]। এর কিছু মডেলে এয়ার সাসপেনশন এবং অন্যান্য লাক্সারি ফিচার কম দামে পাওয়া যায় [৪৩]। তবে, এর V6 ইঞ্জিনগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ের দিক থেকে কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে কিছুটা কম দক্ষ হতে পারে [১৩]। Touareg-এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সম্পর্কে কিছু অভিযোগ থাকলেও, এটি সামগ্রিকভাবে একটি নির্ভরযোগ্য SUV হিসেবে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে তৃতীয় প্রজন্মের মডেলগুলো [২৯, ৩৫]। এর পার্টস সহজলভ্য এবং দীর্ঘস্থায়ীত্বের দিক থেকেও এটি ভালো [২০]।Volvo XC90-এর প্রারম্ভিক মূল্য Touareg-এর চেয়ে কিছুটা বেশি হতে পারে, বিশেষ করে T8 প্লাগ-ইন হাইব্রিড মডেলটি [৮, ১৯, ৩১, ৩৪, ৩৮]। ভলভো গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ সাধারণত প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির হয় [২৫]। তবে, এর প্লাগ-ইন হাইব্রিড অপশনটি দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারে [৮, ১১]। XC90 তার উচ্চ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং বিলাসবহুল কেবিনের জন্য এই অতিরিক্ত দামের ন্যায্যতা প্রমাণ করে [২৪, ২৫, ৩৮]। এর রিসেল ভ্যালু নিয়ে কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও, ভলভো ব্র্যান্ডের বিশ্বস্ততা এবং সুরক্ষা এটিকে ভালো মূল্য ধরে রাখতে সাহায্য করে [২৫]।আমার মতে, যদি আপনার প্রধান অগ্রাধিকার হয় একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন, আরামদায়ক রাইড এবং আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন একটি ৫-সিটের এসইউভি, যা অফ-রোডেও ভালো পারফর্ম করতে পারে এবং প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের চেয়ে সামান্য কম দামে পাওয়া যায়, তাহলে Volkswagen Touareg আপনার জন্য দারুণ পছন্দ হবে। আর যদি আপনি ৭-সিটের একটি গাড়ি চান, যেখানে নিরাপত্তা, অত্যাধুনিক কানেক্টিভিটি এবং পরিবেশ-বান্ধব হাইব্রিড অপশন সবচেয়ে জরুরি, এবং আপনি এর জন্য একটু বেশি খরচ করতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে Volvo XC90 আপনার জন্য সেরা হবে। উভয় গাড়িরই নিজস্ব বিশেষত্ব আছে, তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী টেস্ট ড্রাইভ করে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

📚 তথ্যসূত্র